ঘাসফড়িং (Poekilocerus)

 

দ্বিতীয় অধ্যায়ঃ ঘাসফড়িং

এই পাঠে যা রয়েছে-
  1. ঘাসফড়িং (Poekilocerus)
  2. শ্রেণিবিন্যাস(Systematic Position)
    • স্বভাব ও বাসস্থান (Habit & Habitat)
    • বাহ্যিক গঠন (External Structure)
      • ১. মস্তক (HEAD)
        • ক. পুঞ্জাক্ষী (COMPOUND EYES)
        • খ. সরলাক্ষী/ওসেলাস (OCELLUS)
        • গ. অ্যান্টেনা (ANTENNA)
        • ঘ. মুখোপাঙ্গ (MOUTH PARTS)
      • ২. বক্ষ (THORAX)
        • ক. স্পাইরাকল (SPIRACLE)
        • খ. পদ (LEG)
        • গ. ডানা (WING)
      • ৩. উদর (ABDOMEN)

ঘাসফড়িং (Poekilocerus)

ঘাসফড়িং Arthropoda পর্ব, Insecta শ্রেণির অন্তর্ভুক্ত প্রাণী ।

পৃথিবীর সর্বত্রই বিশেষ করে তৃণভূমি অঞ্চলে এদের প্রচুর পাওয়া যায় ।ঘাসফড়িং দু’ধরনের, যথা- লম্বা অ্যান্টিনাযুক্ত ঘাসফড়িং- এরা Tettinonidae গােত্রের এবং খাটো অ্যান্টিনাযুক্ত ঘাসফড়িং Acrididae গােত্রের অন্তর্ভুক্ত।

ঘাসফড়িং (Poekilocerus)


Poekilocerus (Poecilocerus পূর্বের নাম) pictus আমাদের দেশে প্রাপ্ত খাটো অ্যান্টিনাযুক্ত ঘাসফড়িং। পৃথিবীতে প্রায় ২০,০০০ প্রজাতির ঘাস ফড়িং শনাক্ত করা হয়েছে।

বাংলাদেশে প্রাপ্ত কয়েকটি ঘাসফড়িং এর প্রজাতি নাম উল্লেখ করা হলাে- Poekilocerus pictus, Schistocera gregaria,Locusta migratoria ইত্যাদি।

শ্রেণিবিন্যাস(Systematic Position)

Phylum- Arthropoda (সন্ধিপদী, কাইটিন নির্মিত বহিঃকঙ্কাল)

Class- Insecta (৩ জোড়া সন্ধিযুক্ত পদ)

Subclass – Pterygota (ডানাবিশিষ্ট পতঙ্গ)

Order-Orthoptera (২ জোড়া ডানাবিশিষ্ট)

Family-Acrididae (খাটো অ্যান্টিনা)

Genus-Poekilocerus (পােকিলােসেরাস) (পূর্বের নাম-Poecilocerus)

Species- Poecilocerus pictus



স্বভাব ও বাসস্থান (Habit & Habitat)

পৃথিবীর সবখানে ঘাসফড়িং পাওয়া যায় । তৃণভূমি, সবুজ শস্যক্ষেত, শাক-সবজির বাগান ইত্যাদি স্থানে এদের বেশি পাওয়া যায়।

এরা ফসলের পেস্ট (ক্ষতিকারক পতঙ্গ) হিসেবে বিশেষভাবে পরিচিত। শাক-সবজি, ধান, পাট ইত্যাদি ফসলের কচি পাতা খেয়ে এরা ফসলের ব্যাপক ক্ষতি করে। এরা সাধারণত এককভাবে বাস করে।

তবে ঘাসফড়িংয়ের কিছু প্রজাতি দলবদ্ধভাবে বাস করে। যে সকল ঘাসফড়িং দলবদ্ধভাবে বাস করে এবং এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় দলবেধে ঘুড়ে বেরায় তাদের পঙ্গপাল (Locust- Locuusta migratoria) বলে।

পঙ্গপাল মাইগ্রেটোরি অর্থাৎ দলবদ্ধভাবে একটি ক্ষেতের ফসল খেয়ে অন্য ক্ষেতে চলে যায়, সেখানে ফসল খেয়ে অন্যক্ষেতে যায়।

এভাবে একের পর এক জমির ফসলের পাতা খেয়ে ফসল ধ্বংস করে দেয়।ঘাসফড়িং পিছনের লম্বা পায়ের সাহায্যে লাফিয়ে চলতে স্বচ্ছন্দ বোধ করে।তবে প্রয়োজন হলে উড়তে পারে।

Grass বা ঘাস জাতীয় উদ্ভিদের মধ্যে এরা লাফিয়ে চলে বলে এরা Grasshopper (গ্রাসহপার) বা ঘাসফড়িং নামে পরিচিত।

বাহ্যিক গঠন (External Structure)

ঘাসফড়িংয়ের দেহ সরু, লম্বাটে কিছুটা বেলন আকৃতির এবং দ্বিপার্শ্বীয়ভাবে প্রতিসম । এরা লম্বায় প্রায় ৮ সেন্টিমিটার হয়। এদের বর্ণ হালকা সবুজ অথবা হলুদাভ সবুজ।

এদের দেহের বহিঃআবরণ কে কিউটিকল বলে।কিউটিকল বহিঃকঙ্কালের মত কাজ করে।কিউটিকল কাইটিন দিয়ে গঠিত।হাইপােডার্মিস থেকে নিঃসৃত পদার্থে কাইটিন গঠিত হয়।




কিউটিকল অনেকগুলো পাত-এর (Plate) মতাে গঠন বিশিষ্ট খন্ড নিয়ে গঠিত এগুলোকে স্ক্লেরাইট বলে।

স্কেলেরাইটের পৃষ্ঠীয়(পিঠের দিকের) অংশকে টার্গাম, অঙ্কীয়(বুকের দিকের) অংশকে স্টারনাম বলে।টারগাম ও স্টার্নাম পার্শ্বীয় দিকে যে অংশ দিয়ে যুক্ত থাকে সে অংশকে প্লিউরন বলে(বহুবচন-প্লুরা)।

দুটি স্কেলেরাইট এর সংযোগ স্থলে নরম কিউটিকল যুক্ত খাঁজ দেখা যায় এদের সুচার বলে ।

ঘাসফড়িংয়ের দেহ তিনটি প্রধান খন্ড বা টাগমা নিয়ে গঠিত। যথা- মস্তক, বক্ষ ও উদর।

১. মস্তক (HEAD)

মস্তককে একক গঠন মনে হলেও তা আসলে ছয়টি খণ্ডকের সমন্বয়ে সৃষ্ট। পূর্ণাঙ্গ পতঙ্গে মস্তকের খণ্ডকগুলাে বাহির থেকে স্পষ্ট দেখা না গেলেও তা ভ্রূণাবস্থায় দেখা যায়।

এ ছাড়াও মস্তকের জোড়া উপাঙ্গসমূহ খণ্ডকগুলাের উপস্থিতি নির্দেশ করে। মস্তকের পৃষ্ঠদেশের ত্রিকোণাকার অঞ্চলটিকে ভার্টেক্স (vertex) বলে এবং সম্মুখ ভাগের অংশকে ফ্রন্স (frons) বলে ।

একজোড়া জেনা (genae; sing. gena) মস্তকের পার্শ্বদেশ গঠন করে। ফ্রন্স এর নিচের চওড়া আয়তাকার পাতটিই ক্লাইপিয়াস (clypeus)।

মস্তক একজোড়া পুঞ্জাক্ষি, তিনটি সরল চোখ/সরলাক্ষি বা ওসেলাস (ocellus; pl.ocelli), একজোড়া অ্যান্টেনা এবং ম্যান্ডিবুলেট ধরনের (mandibulate type) বা চর্বণ উপযােগী (chewing type) মুখােপাঙ্গ সমন্বয়ে গঠিত।

ক. পুঞ্জাক্ষী (COMPOUND EYES)

মস্তকের প্রথম খন্ডকে পৃষ্ঠীয় পার্শ্বীয় অবস্থানে একটি করে মােট দুটি বেশ বড় আকারের পুঞ্জাক্ষী থাকে। গঠনগতভাবে পুঞ্জাক্ষী বৃন্তবিহীন(stalkless)।

খ. সরলাক্ষী/ওসেলাস (OCELLUS)

পুঞ্জাক্ষীদ্বয়ের মধ্যখানে ৩টি সরল চোখ বা সরলাক্ষী বা ওসেলাস (ocellus; pl.ocelli) অবস্থিত। সরলাক্ষীগুলাে পুরু কিন্তু স্বচ্ছ এবং শক্ত আবরণযুক্ত যা লেন্সের মত কাজ করে। সরলাক্ষীর ভেতর আলােক সংবেদী কোষ থাকে যারা রেটিনার মত কাজ করে।

গ. অ্যান্টেনা (ANTENNA)

দ্বিতীয় মস্তক খণ্ড একজোড়া অ্যান্টেনা (antenna; pl. antennae) বহন করে এবং এরা পুঞ্জাক্ষীর সামনের খাঁজে অবস্থিত।অ্যান্টেনা লম্বা সূতার ন্যায় এবং বহুসন্ধিযুক্ত। অ্যান্টেনায় সংবেদী ব্রিসল (tactile bristles) এবং অলফ্যাক্টরি পিট (olfactory pit) বহন করে বলে এরা কার্যকরী ইন্দ্রিয়ে পরিণত হয়েছে।

ঘ. মুখোপাঙ্গ (MOUTH PARTS)

ঘাস ফড়িং এর মুখােপাঙ্গ একজোড়া ম্যাক্সিলা (maxilla), একজোড়া ম্যান্ডিবল (mandible), ল্যাব্রাম (labrum), ল্যাবিয়াম (labium) ও হাইপােফ্যারিংক্স (hypopharynx) নিয়ে গঠিত।

ল্যাব্রাম (LABRUM):

ক্লাইপিয়াসের নিচে ঝুলন্ত একটি গঠন। এটি মুখছিদ্রের সম্মুখে উপরের ওষ্ঠ (lip) হিসেবে অবস্থিত এবং পাদদেশের পেশির সাহায্যে নড়াচড়ায় সক্ষম।

কাজঃ এটি প্রিওরাল গহ্বরের এন্টেরিয়র বা সম্মুখ প্রাচীর গঠন করে। ল্যাব্রাম নিম্ন ওষ্ঠ (ল্যাবিয়াম) সহযােগে খাদ্য ধরতে সহায়তা করে।

হাইপােফ্যারিংক্স (HYPOPHARYNX):

হাইপােফ্যারিংক্স বা লিঙ্গুয়া (lingua) মেমব্রেনাস (membranous) বা ঝিল্লির ন্যায় উপাঙ্গ। এটি ল্যাব্রামের সন্নিকটে এবং ভিতরের কিনারায় মধ্যস্থলে যুক্ত থাকে।

সরু ব্যাসাল (basal) অংশ এবং গােলাকার ডিস্টাল (distal) অংশ নিয়ে গঠিত।

কাজঃ লালানালির ছিদ্র বহন করে।

 ম্যান্ডিবল (MANDIBLE):

মুখছিদ্রের উভয় পার্শ্বে একটি করে মােট দুটি ম্যান্ডিবল অবস্থিত। ম্যান্ডিবল প্রায় ত্রিকোণাকৃতির শক্ত, দৃঢ় উপাঙ্গ (appendage)। এদের অন্তঃকিনারা করাতের তীক্ষ দাঁতের ন্যায়।

এরা ৪র্থ মস্তক খন্ড থেকে উদ্ভূত বলে মনে করা হয়।

কাজঃ খাদ্য কর্তন এবং পেষণের জন্য ব্যবহৃত হয়।

ম্যাক্সিলা (MAXILLA) :

ম্যান্ডিবলের পশ্চাতে এবং বাইরের দিকে প্রতি পার্শ্বে একটি করে মােট দুটি ম্যাক্সিলা (maxilla; pl.- maxillae) অবস্থিত।

প্রতিটি ম্যাক্সিলা কার্ডো (cardo), স্টাইপস (stipes), গ্যালিয়া (galea), ল্যাসিনিয়া (lacinia) এবং ম্যাক্সিলারি পাল্প (maxillary palp) নিয়ে গঠিত। এদের মধ্যে গ্যালিয়া এবং ল্যাসিনিয়া উপবৃদ্ধি আকারে উপস্থিত।


ম্যাক্সিলারি পাল্প পাঁচ খন্ডবিশিষ্ট এবং স্টাইপসের পার্শ্বদেশ থেকে উৎপন্ন হয়। ডিস্টাল খন্ডের শেষ প্রান্তে সংবেদী স্পিনিউল (spinule) থাকে। ম্যাক্সিলারি পাল্পের পাদদেশের ক্ষুদ্র স্কেলেরাইটটিকে পালফিফার (palpifer) বলে।

ম্যাক্সিলাকে ৫ম মস্তক খন্ডের উপাঙ্গ বলে বিবেচনা করা হয়।

কাজঃ ম্যাক্সিলাদ্বয় খাদ্যদ্রব্যকে আঁকড়ে ধরে ম্যান্ডিবলের কাছে নিয়ে আসে।খাবার ফসকে যাওয়া রোধ করে।পায়ের অগ্রভাগ পরিষ্কার করে। ম্যাক্সিলারি পাল্প সংবেদী অঙ্গ হিসেবে কাজ করে।

ল্যাবিয়াম (LABIUM):

ল্যাবিয়াম মুখছিদ্রের নিচে অবস্থিত এবং নিম্ন ওষ্ঠ হিসেবে কাজ করে। একে ২য় জোড়া ম্যাক্সিলার একীভূত অবস্থা বলে মনে করা হয়।

এদের পাদদেশীয় খন্ডাংশগুলাে একত্রিত হয়ে দুটি অনুপ্রস্থ স্কেলেরাইট যথা, সাবমেনটাম (submentum) ও মেনটাম (mentum) সৃষ্টি করে। মেন্টামের মুক্তপ্রান্তে প্রতিপার্শ্বে দুটি নড়নক্ষম লিগুলী (ligula; pl. ligulae) এবং সন্ধিযুক্ত ল্যাবিয়াল পাল্প (labial palp) অবস্থিত।

প্রতিটি লিগুলায় আবার ভিতরের দিকে অতিক্ষুদ্র গ্লোসা (glossa; pl. glossae) এবং বাইরের দিকে প্যারাগ্লাসা (paraglossa) উপস্থিত।

কাজঃ ল্যাবিয়াম ল্যাব্রাম সহযােগে খাদ্যবস্তু ধরে রাখতে সাহায্য করে।খাবার হরণ রোধ করে।মুখে খাবার প্রবেশ করাতে সাহায্য করে। ল্যাবিয়াল পাল্প সংবেদী অঙ্গ হিসেবে কাজ করে।

২. বক্ষ (THORAX)

বক্ষ তিন অংশে বিভক্ত।যথাঃ- অগ্রবক্ষ (prothorax), মধ্যবক্ষ (mesothorax) এবং পশ্চাৎবক্ষ (metathorax)। প্রতিটি খণ্ডাংশের বহিঃকঙ্কাল কাইটিনজাত চারটি ক্লেরাইট দ্বারা গঠিত।

পৃষ্ঠীয় স্কেলেরাইটকে টারগাম (tergum),অঙ্কীয়টিকে স্টারনাম (sternum) বলে ।

বক্ষে অবস্থিত বিভিন্ন অঙ্গের গঠন

ক. স্পাইরাকল (SPIRACLE)

বক্ষের টার্গাম ও স্টার্নাম এর সংযোগস্থলে দুই জোড়া ছিদ্র থাকে একে শ্বাসরন্ধ্র বা স্পাইরাকল(spiracle) বলে। প্রথম জোড়া স্পাইরাল অগ্রবক্ষ ও মধ্যবক্ষের মধ্যস্থলে অবস্থিত এবং দ্বিতীয় জোড়া স্পাইরাকল মধ্য ও পশ্চাৎ বক্ষের মধ্যস্থলে অবস্থিত।

খ. পদ (LEG)

ঘাসফড়িং এর বক্ষের প্রতিটি খন্ডে সন্ধিযুক্ত একজোড়া পদ থাকে। প্রতিটি পদ পাঁচটি খন্ডক বহন করে। খন্ডকগুলাে হলাে- কক্সা (coxa), ট্ৰকান্টার (trochanter), ফিমার (femur), টিবিয়া(tibia), টার্সাস (tarsus)।

কক্সা বক্ষের সাথে সংযুক্ত থাকে।ট্রকান্টার ক্ষুদ্র, কক্সা এবং ফেমারের সাথে সংযোগকারী অংশ হিসেবে কাজ করে।ফিমার শক্ত ও লম্বাটে।টিবিয়া লম্বা এবং কাঁটাযুক্ত। টার্সাস হলো টিবিয়ার প্রান্তীয় অংশ।

এটি তিনটি খন্ড বা টার্সোমেয়ার (tarsomere)নিয়ে গঠিত। প্রথম টার্সোমেয়ারটি অঙ্কীয় দিকে তিনটি প্যাড (pad) বা প্লান্টুলা (plantula; pl.-plantulae) বহন করে।তৃতীয় টার্সোমেয়ারটির একটি প্যাড বা অ্যারােলিয়াম (arolium) বা পুলভিলাস (pulvilus) থাকে যার দুই পাশে দুটি নখর (claw) থাকে।

ঘাসফড়িং এর পদ চলনে বা গাছে চড়তে ব্যবহৃত হয়। পশ্চাদ বক্ষে অবস্থিত শেষ জোড়া পদের ফিমার লম্বাটে ও মাংসল হয় যা লাফিয়ে চলার জন্য ব্যবহৃত হয়।এধরণের পদ কে কার্সোরিয়াল পদ বলে।

গ. ডানা (WING)

মধ্য বক্ষ ও পশ্চাত বক্ষে একজোড়া করে মােট দুই জোড়া ডানা থাকে।

প্রতিটি ডানা পুরু কিউটিকলযুক্ত লম্বা গঠন বিশিষ্ট  শিরা (nervure or vein) দিয়ে গঠিত।শিরাসমূহের অন্তর্বর্তী অংশ পাতলা এবং পর্দার ন্যায়।ঘাস ফড়িং এর ২ জোড়া ডানা একই রকম নয়।

প্রথম জোড়া ডানা বা অগ্ৰডানা (forewings), সরু, শক্ত কিউটিকল দিয়ে গঠিত একে টেগমিনা (tegmina) বলে। এটি উড়ার কাজে ব্যবহৃত হয়না বরং পশ্চাৎ ডানাকে ঢেকে রাখে।

পশ্চাৎ ডানা বড়, চওড়া পর্দার ন্যায় (membranous) এবং উড়ায় ব্যবহৃত হয়। বিশ্রামের সময় পশ্চাৎ ডানা ভাঁজ করা অবস্থায় অগ্রডানা দ্বারা আবৃত থাকে।

৩. উদর (ABDOMEN)

উদর লম্বাটে এবং বেলনাকার (cylindrical)। উদরের এগারােটি খন্ডকের প্রতিটির পৃষ্ঠীয়দেশে টার্গম (tergum) এবং অঙ্কীয়দেশে স্টারনাম (sternum) থাকে কিন্তু কোন প্লিউরন (pleuron) থাকে না।

প্রথম খণ্ডকের স্টারনাম পশ্চাৎ বক্ষের স্টারনামের সাথে একীভূত (fused) । প্রথম খণ্ডকের প্রতিপার্শ্বে একটি করে টিমপেনিক পর্দা (tympanic membrane) থাকে যা শ্রবণ অঙ্গকে আবৃত রাখে ।

প্রথম হতে অষ্টম খন্ডক পর্যন্ত প্রতি খণ্ডকের উভয়পার্শ্বে একটি করে মােট আট জোড়া শ্বাসরন্ধ্র বা স্পাইরাল (spiracle) থাকে। নবম, দশম ও একাদশ উদীয় খণ্ড রূপান্তরিত। পুরুষ ঘাস ফড়িং এ নবম খণ্ডকের স্টারনাম অঙ্কীয় দেশে কিছুটা লম্বাটে,উদর উপর দিকে সামান্য মোচড়ানাে থাকে।

স্ত্রী ঘাস ফড়িং এ উদর ক্রমান্বয়ে অপেক্ষাকৃত সরু এবং শেষ প্রান্তে একটি ওভিপােজিটর (ovipositor) থাকে।

Post a Comment

0 Comments